বর্ণালী রায়; দক্ষিণ দিনাজপুর: একটি পথকুকুরের মালিকনা নিয়ে দুই যুবকের টানাপোড়েন, জোর চর্চা। ঘটনাটি দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বালুরঘাটের পরাণপুর এলাকার। স্থানীয় বাসিন্দাদের মতে, পরাণপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ছোট থেকে বড় হয়েছে একটি পথকুকুর, যাকে এলাকার মানুষ ভালোবেসে লিন্ডা নামে ডাকেন। পরাণপুর এলাকার বাসিন্দা পেশায় গাড়ি চালক সুজন হালদার-এর বক্তব্য তার বাড়িতেই ছোট থেকে বড় হয়েছে লিন্ডা, লিন্ডাকে তিনি নিজের স্কুটিতে চাপিয়ে ঘোরানও। সুজন হালদার-এর অভিযোগ তার এলাকার একটি দোকানে কাজ করা সোনা চৌধুরী নামের এক যুবক লিন্ডা-কে কালিকাপুরের বাড়িতে নিয়ে চলে যেত। যা নিয়ে তিনি নিজের আপত্তির কথা বারবার সোনা চৌধুরী-কে জানিয়েছিলেন। কিন্তু দুই যুবকের বিরোধ চরমে উঠে যখন লিন্ডা সোনা চৌধুরী-র কালিকাপুরের বাড়িতে বসবাস করতে থাকে। লিন্ডা-কে ফিরে পেতে রীতিমত থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন সুজন হালদার। এরপর বালুরঘাট থানা কর্তৃপক্ষ সোনা চৌধুরী-কে ডেকে পাঠায়। যার পরে বিবাদমান দুই পক্ষের মীমাংসায় ঠিক হয় লিন্ডা-কে পরাণপুর চত্বরে ছেড়ে দেওয়া হবে, লিন্ডা-কে কোন পক্ষই বাড়িতে বেধে রাখতে পারবে না। মীমাংসার শর্ত মাফিক সোনা চৌধুরী লিন্ডাকে পরাণপুরে ছেড়ে দেয়। সোনা চৌধুরী-র বক্তব্য লিন্ডা তার সাথে তার বাড়িতে ৮ - ৯ মাস ধরে থাকছে, তিনিও লিন্ডা-কে স্কুটিতে চাপিয়ে ঘোরান। এমনকি রাস্তায় ঘুরে হাপিয়ে গেলে লিন্ডা দোকানের এসি ঘরেই আরাম করে। এমত অবস্থায় লিন্ডা-র সাথে তার মনের সম্পর্কের কথাও সংবাদমাধ্যমকে জানান সোনা চৌধুরী। তার সাফ কথা - "কুকুর আমার কাছে আসলে তার জন্য আমার যা হওয়ার তাই হবে"। লিন্ডা-কে নিয়ে দুই পক্ষের বিবাদ ইতিমধ্যেই চর্চার বিষয় হয়ে উঠেছে স্থানীয় বাসিন্দাদের৷ স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের মতে এই বিবাদ আগামীতে আদালত অবধিও গড়াতে পারে। এমন ঘটনা চাউড় হতেই বালুরঘাটের সাধারণ মানুষদের একাংশের বক্তব্য অবলাদের ভালোবাসা নি:স্বার্থ এবং উজাড় করা, অবলাদের ভালবাসলে তারা আপন করে নেয়, ঠিক যেমনটা লিন্ডা আপন করে নিয়েছে সুজন হালদার এবং সোনা চৌধুরী-কে।
Total Post View : 29225