দক্ষিণ দিনাজপুর: বানগড়-এর জন্য অর্থ বরাদ্দ আর্কেলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া-র। বানগড় ঘিরে পর্যটন সম্ভাবনা জোরালো। উল্লেখ দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার গঙ্গারামপুরে রয়েছে বান রাজাদের স্থাপত্য। এও উল্লেখ যে ইতিমধ্যেই বানগড়ের ইতিহাস জনসমক্ষে নিয়ে আসতে ৩ বার গঙ্গারামপুরের বানগড় এলাকায় খনন কার্য চালায় আর্কেলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া। প্রথমবার ১৯৩৮ -১৯৪১ সালে অধ্যাপক কুঞ্জগোবিন্দ গোস্বামী-র নেতৃত্বে, দ্বিতীয়বার ২০০৭ সালে অধ্যাপক সতীশ সরণ-এর নেতৃত্বে এবং তৃতীয়বার 

২০০৯ -২০১১ সালে তপন জ্যোতি বৈদ্য ও শান্তুনু মাইতি-র নেতৃত্বে খনন কার্য হয়। যদিও তার পরে এক দশক কেটে গেলেও বানগড়ের ইতিহাস উন্মোচনের জন্য কোন উদ্যোগ দেখা যায়নি। বানগড়কে ঘিরে পর্যটন কেন্দ্র স্থাপনের দাবী উঠছিল জেলা থেকে। এরই মাঝে আর্কেলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া বানগড়-এর জন্য ২ কোটি ৮৮ লক্ষ ৩১ হাজার ১৮৮ টাকা বরাদ্দ করল। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার ইতিহাস গবেষক ড: সমিত ঘোষ বলেন এএস আই বলছে তাদের রিপোর্টে বানগড় আড়াই হাজার বছর পুরোনো সভ্যতার ঐতিহ্য বহন করছে। তিনি বলেন বানগড়ে খনন করলে ইতিহাসের অনেক অজানা ইতিহাস উন্মোচিত হবে বলে আমাদের বিশ্বাস। তবে খনন কাজে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি ব্যবহার করা উচিৎ বলে তিনি বলেন। গঙ্গারামপুরের বিধায়ক সত্যেন্দ্রনাথ রায় বলেন নির্বাচনের পরে আরও বড় করে এই কাজটি শুরু করব। বালুরঘাটের সাংসদ ড: সুকান্ত মজুমদার বলেন প্রথমে আমরা বাউন্ডারি ওয়ালের কাজ করব, আমরা একটি বড় প্রোজেক্ট বানগড়কে কেন্দ্র করে সরকারের কাছে জমা দিব, আমরা ৫০-৬০ কোটি টাকার প্রোজেক্ট প্ল্যান করেছি। তিনি বলেন আগামীদিনে পর্যটনের জন্য যাতে উপযুক্ত জায়গায় পরিণত হয় বানগড় এবং বানগড়কে কেন্দ্র করে পার্শ্ববর্তী এলাকার মানুষদের যাতে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হয় সেই প্রচেষ্টা আমাদের থাকবে৷