সূর্যশিখা নিউজ ডেস্ক: ছাত্রীদের দিনের পর দিন মানসিক ও শারিরীক নির্যাতন করে চলেছেন এক অধ্যাপক । এমনই অভিযোগ তুলে অনশনে বসলেন বিশ্বভারতীর কয়েকজন ছাত্রী । এই ঘটনায় ফের একবার বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।'সেভ ফিমেল স্টুডেন্ট অফ গুরুদেব ইউনিভার্সিটি', এই ব্যানার লিখে অনশনে বসলেন বিশ্বভারতীর ৬জন ছাত্রী। অভিযোগ, অনশনকারী ছাত্রীদের মধ্যে ৪জনকে দিনের পর দিন মানসিক ও শারিরীক নির্যাতন করে চলেছেন এক অধ্যাপক। এই মর্মে 2021 সাল থেকে বিশ্বভারতীর কর্মসচিব থেকে শুরু করে উপাচার্যকে অভিযোগ করেও কোনও ফল হয়নি । তাই সোমবার, হাতে ব্যানার নিয়ে ঐতিহ্যবাহী তিন পাহাড় ও তালধ্বজের সামনের রাস্তায় অনশন শুরু করেন ছাত্রীরা। ৩ জন গবেষণারত ছাত্রী ও 1 জন স্নাতকোত্তর উত্তীর্ণ ছাত্রীকে বিভিন্নভাবে কুপ্রস্তাব দেওয়া, না-মানলে পড়াশোনার জীবন শেষ করে দেওয়ার হুমকি দেন ওই অধ্যাপক। এই মর্মে প্রথমে বিভাগীয় প্রধান, পরে বিদ্যাভবনের অধ্যক্ষ, ইন্টারনাল কমপ্লেন্স কমিটি (আইসিসি)-র কাছে অভিযোগ করেন ছাত্রীরা। এমনকী, বিশ্বভারতীর কর্মসচিব ও উপাচার্যের কাছেও অভিযোগ করা হয়। কিন্তু, কোনও ফল না-হওয়ায় আজ হাতে ব্যানার নিয়ে ঐতিহ্যবাহী তিন পাহাড় ও তালধ্বজের সামনের রাস্তায় অনশনে বসেন তাঁরা। ৪ জন ছাত্রীর সঙ্গে অনশনে যোগ দেন তাঁদের দুই সহপাঠী। গুরুদেব রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ছবি দিয়ে ব্যানারে লেখা রয়েছে 'সেভ ফিমেল স্টুডেন্ট অফ গুরুদেব ইউনিভার্সিটি'। পাশাপাশি গুরুদেবের লেখা প্রতিবাদী কবিতার কয়েকটি লাইন ব্যানারে লিখে অনশন করেন ছাত্রীরা । অনশনকারী দুই ছাত্রী বলেন, "দিনের পর দিন নানাভাবে আমাদের নির্যাতন করা হয়েছে। প্রথমে কুপ্রস্তাব দেন অধ্যাপক অর্ণব ঘোষ। না-মানলে কেরিয়ার শেষ করে দেওয়ার হুমকি দেন । আমরা মানসিকভাবে বিপর্যস্ত।"
Total Post View : 42891