দক্ষিণ দিনাজপুরঃ গঙ্গারামপুরে বিএসএফ-এর গুলি চালনার ঘটনায় ক্ষুব্ধ মমতা, বালুরঘাটের জনসভা থেকে নির্বাচন কমিশনকে চোখ খোলার অনুরোধ মমতা-র। উল্লেখ শনিবার দুপুরে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার গঙ্গারামপুর ব্লকের দুমুটা ফরিয়াদপুর সীমান্তবর্তী এলাকার মন্ডলপাড়া গ্রামে বিএসএফ-এর গুলিতে গুলিবিদ্ধ হয় এক যুবক এবং আরও একজন যুবক বিএসএফ-এর মারে আহত হন। গ্রামবাসীদের অভিযোগ মন্ডল পাড়া গ্রামের যুবক নুর সালাম কাজের প্রয়োজনে সীমান্ত এলাকায় গেলে বিএসএফ নুর আলমকে মারধোর করে। গ্রামবাসীদের অভিযোগ এরপর 

ইসরাফিল আলি নামের আর এক যুবক নুর আলমকে বাচাতে গেলে বিএসএফ এলোপাথাড়ি গুলি চালায়। বিএসএফ-এর ছোড়া গুলিতে গুলিবিদ্ধ হন ইসরাফিল আলি। ঘটনার পরে গ্রামবাসীরা ঐ দুই যুবককে প্রথমে গঙ্গারামপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্ত্তি করে। পরবর্তী সময়ে শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় গুলিবিদ্ধ হওয়া যুবক ইসরাফিল আলি-কে মালদা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করে চিকিৎসকরা। যদিও ঘটনার পরে বিএসএফ-এর পক্ষ থেকে দাবী করা হয় ঐ দুই যুবক পাচার কাজের জন্য সীমান্ত এলাকায় গিয়েছিল। শনিবারের বিএসএফ-এর গুলি চালানোর সেই ঘটনার পরে রবিবার বালুরঘাটের জনসভা থেকে বিএসএফ-এর বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন আমি অনুরোধ করব নির্বাচন কমিশনকে দয়া করে চোখ খুলুন, এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিন৷ পাশাপাশি ঘটনার অভিযোগ নির্বাচন কমিশনের কাছে দায়ের করার জন্য তিনি দলীয় তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী বিপ্লব মিত্রকে নির্দেশ দেন। ক্ষুব্ধ মমতা বলেন, আমি দেখতে চাই বিএসএফ বড় না মানুষ বড়। এরপরেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিএসএফ-এর বিরুদ্ধে একরাশ ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন ভাল করে কাজ করুন ঘরের খাবার খাইয়ে দিয়ে আসব, ভাল করে কাজ করুন বিয়েতে মায়েরা নিমতন্ন করে খাওয়াবে, ভাল করে দেশ রক্ষা করুন, যখন গরু পাচার হয় তখন কি করেন, আমাদের নামে দোষ দেন, আপনাদের দায়িত্ব তো গরু রুখা আমাদের দায়িত্ব নয়। ক্ষুব্ধ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রশ্ন তুলে বলেন কেন উত্তর প্রদেশের গরু বাংলায় আসবে, কেন উত্তর প্রদেশ থেকে বিহার থেকে গরু এসে বাংলায় ঢুকবে, আর বিএসএফ টাকা খাবে আর তৃণমূলকে চোর বলবে। শুধু তাই নয় বিএসএফ-এর বিরুদ্ধে গ্রামবাসীদেরকে বিজেপিতে ভোট দিতে বলার অভিযোগ তুলে এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন আমি আগে জীবনে দেখিনি, সেন্ট্রাল ফোর্সকে পলিটিক্যাল পার্টি করতে, কেন্দ্রীয় সরকারের সরকারি কর্মচারী সরাসরি বলছে বিজেপিকে ভোট দিতে।