সূর্যশিখা নিউজ ডেস্ক: অযোধ্যায় এখন হোটেল ব্যবসায়ীদেরই 'রাজত্ব'। রামমন্দিরের উদ্বোধন দেখতে নয় নয় করেও ৩ থেকে ৫ লাখ মানুষের সমাগম হবে। হোটেলের ঘর পেতে রীতিমতো হুড়োহুড়ি হচ্ছে। বেশিরভাগ হোটেলেরই ঘর বুকিং হয়ে গেছে। যেগুলো বাকি আছে সেগুলোরও চড়া দাম হাঁকছেন হোটেল মালিকরা। অযোধ্যার সাধারণ হোটেলে আগামী ২১ থেকে ২৩ জানুয়ারি এক রাতের খরচ শুনলে চোখ কপালে উঠবে। অন্তত দু'রাত থাকার খরচ এক লাখের বেশি। কোনও বহুজাতিক বিলাসবহুল হোটেল নয়। একেবারেই সাধারণ হোটেলের ঘর ভাড়া এমনই নিচ্ছেন হোটেল মালিকরা। এমনি সময়ে হোটেলে যে ঘরের ভাড়া দিনে দুই থেকে তিন হাজার টাকা, জানুয়ারি মাসে তা হয়েছে ৪০-৪৫ হাজারের বেশি। হোটেলের ঘরভাড়া প্রায় ২০ গুণ বৃদ্ধি করেছেন মালিকেরা। হোটেলে ভাড়া বৃদ্ধি পেলেও ঘর কিন্তু খালি নেই। উল্টে দর্শনার্থীরা এখন খুঁজছেন ধর্মশালা, অতিথিনিবাস। অযোধ্যার হোটেল মালিকদের সংগঠন জানিয়েছে, শহরে মোট হোটেলের সংখ্যা ১৩৮টি। তাতে ঘর রয়েছে চার হাজার। এ ছাড়াও শহরে ৭০টি অতিথিনিবাস, ৫০টি ধর্মশালা এবং ১০০টি হোম স্টে রয়েছে। দিল্লি, মুম্বই-সহ বড় শহর থেকে বহু দিন আগেই আগাম বুকিংয়ের আবেদন করে ফোন আসছে। হোটেল ব্যবসায়ীরা বলছেন, করোনার সময়কার মন্দা কাটিয়ে এখন লাভের মুখই দেখছেন সকলে।হোটেলের পাশাপাশি, সরযূ নদীর তীরে 'তাঁবুর শহর' গড়ে তুলছে যোগী আদিত্যনাথের সরকার। সেখানেও থাকতে পারবেন দর্শনার্থীরা। সেখানও ১০০ থেকে ১৫০টি ঘর রয়েছে।
Total Post View : 176