দক্ষিণ দিনাজপুরঃ বালুরঘাট হাসপাতাল নিয়ে বিস্ফোরক অভিযোগ উঠতেই অবশেষে নড়েচড়ে বসল স্বাস্থ্য দপ্তর। উল্লেখ বালুরঘাট হাসপাতালের কর্মীদের দুই গোষ্ঠীর বিবাদের জেরে হুলুস্থুল পরিস্থিতি দেখা দেয় বালুরঘাট হাসপাতালে। হাসপাতালের এক কর্মীর গলায় ব্লেড চালানোরও অভিযোগ উঠে হাসপাতালের দায়িত্বে থাকা ঠিকাদার এজেন্সির আর এক কর্মীর বিরুদ্ধে। ঘটনায় ইতিমধ্যে পুলিশ একজনকে গ্রেপ্তারও করে। এরই মাঝে বালুরঘাট হাসপাতালের ভিতরে বিউটি পার্লার চালানোর একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়, উঠে হাসপাতালের বন্ধ ঘরে বহিরাগতদের নিয়ে এসে অশ্লীল কাজকর্ম চালানোর মত বিস্ফোরক অভিযোগ। অভিযোগ সামনে আসতেই তোলপাড় পড়ে যায় বালুরঘাটে। রবিবার দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক, হাসপাতালের কর্মীদের এবং পুলিশ আধিকারিকদের সাথে দীর্ঘক্ষণ মিটিং করেন। যার পরে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডা: সুদীপ দাস বলেন এধরণের ঘটনা এর আগে কেউ আমাদের কাছে এসে বলেনি, এর পূর্ণাঙ্গ তদন্ত নিশ্চয় হবে, তদন্তে যদি দেখা যায় কেউ এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত থাকে তাহলে সরকারি নিয়ম অনুসারে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি জানিয়েছেন পুলিশকে তারা বলেছেন আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে, হাসপাতাল চত্বরে মোবাইল পেট্রোলিং বাড়াতে এবং হাসপাতালের অব্যাহত জায়গাগুলি শীঘ্রই বন্ধ করতে। পাশাপাশি হাসপাতালের দায়িত্বে থাকা ঠিকাদার এজেন্সিকে ডেকে কথা বলবার কথাও জানান এদিন তিনি। জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের বক্তব্য এই বিষয়ে তাদের জিরো টলারেন্স নীতি, সরকারি পরিষেবাকে ব্যাহত করার চেষ্টা হলে কোনভাবেই তারা বরদাস্ত করবেন না। কিন্তু এত কিছুর পরেও বালুরঘাট শহর জুড়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে এতদিন ধরে প্রশাসনের নজরদারি এড়িয়ে সরকারি হাসপাতালের ভিতর এত কিছু চলছিল কিভাবে, তবে কি ঘটনার নেপথ্যে রয়েছে প্রভাবশালী কেউ, এমন প্রশ্ন দানা বাধতে শুরু করেছে সাধারণ মানুষদের মনে।