বালুরঘাট: লক্ষ লক্ষ টাকা ব্যায় করেও নতুন ঘড়ি প্রতিস্থাপনের পরেও সঠিক সময় দেখাচ্ছে না ঘড়ি, একই সময়ে তিন দিক থেকে শহরবাসীদের দেখাচ্ছে তিন রকম সময়। উল্লেখ বালুরঘাট পৌরসভায় বাম বোর্ড থাকাকালীন বালুরঘাট শহরের ব্যস্ততম নারায়ণপুর এলাকায় টাওয়ার ক্লক স্থাপিত হয়। কিছুদিন পরে সেই টাওয়ার ক্লক বিকল হয়ে যায়। এরপর বালুরঘাট পৌরসভায় তৃণমূল কংগ্রেসের বোর্ড ক্ষমতায় আসার পর বিকল ঘড়ি মেরামত করলে ফের সচল হয় ঘড়ি। যদিও পরবর্তী সময়ে ফের খারাপ হয় ঘড়িটি। এরপর বালুরঘাট পৌরসভা অর্থ খরচ করে ফের ঘড়িটি মেরামত করে। যদিও তারপরেও ঘড়িটি ফের অচল অবস্থায় পড়ে থাকে। যার পরে বালুরঘাট পৌরসভা ৯ লক্ষ টাকা ব্যায়ে নতুন ঘড়ি প্রতিস্থাপনের সিদ্ধান্ত নেয়। এরপরে গত বছর ১০-ই এপ্রিল টাওয়ার ক্লকটির উদ্বোধন করেন বালুরঘাট পৌরসভার চেয়ারম্যান অশোক মিত্র। ৯ লক্ষ টাকা খরচ করে নতুন ঘড়ি প্রতিস্থাপিত হলেও বর্তমানে ঘড়িটি বিভিন্ন দিকে বিভিন্ন রকম সময় দেখাচ্ছে। ঘড়ির সময় দেখে পথচলতি মানুষরা যেমন বিভ্রান্ত হচ্ছেন বলে বক্তব্য পথচলতি শহরবাসীদের। নতুন ঘড়ি কেন ভুল সময় দেখাবে এ নিয়ে শহরবাসীরা প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে। পথচলতি বালুরঘাটের বাসিন্দা বছরে ৮ মাস ঘড়ি বিকল থাকে। বারংবার এই ঘড়িটিকে কেন মেরামত করা হচ্ছে বলে এদিন প্রশ্ন তোলেন তিনি। ইন্দ্রজিৎ সাহা-র প্রশ্ন ভাল কম্পানির ঘড়ি কেন লাগানো হচ্ছে না। শহরের পথ চলতি মানুষদের অনেকে আবার বালুরঘাট পৌরসভার টাওয়ার ক্লকটিকে পাগলা ঘড়ি আখ্যা দিয়ে হাসছেন। লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করে নতুন ঘড়ি প্রতিস্থাপনের পর ঘড়ির ভুল সময় দেখানো প্রসঙ্গে বালুরঘাটের বাসিন্দা বঙ্গরত্ন বিশ্বনাথ লাহা বলেন এটা ভাবতে হবে অন্য কোথাও এমন কিছু হয় না এখানে কেন হচ্ছে, এমন অনেক জিনিস আছে সেগুলি নন স্ট্যানডার্ড জিনিস সরবরাহে অনুমতি দেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি তিনি বলেন ঘড়ির পিছনে ঘড়ি স্থাপন, মেরামত এবং ফের প্রতিস্থাপনে কত খরচ হয়েছে তা উঠে আসা উচিৎ। উনার অভিযোগ মানুষকে রীতিমতো বোকা বানানো হচ্ছে। বালুরঘাট পৌরসভার নতুন ঘড়ির ভুল সময় দেখানো নিয়ে বালুরঘাট পৌরসভা পরিচালিত পৌর বোর্ডের বিরুদ্ধে সুর চড়াতে শুরু করেছে বিরোধীরাও। আরএসপি নেতা প্রলয় ঘোষ বলেন বালুরঘাটের ট্যাক্সের টাকায় আবার হয়ত দেখবেন ৫ - ৭ লক্ষ টাকা দিয়ে ঘড়ি ঠিক করছে, এটাই তো চলছে। বালুরঘাট পৌরসভার ইলেকট্রিক্যাল বিভাগের এস.এ.ই সৌমদীপ দে বলেন ঘড়িটিতে জিপিএস ডিজিটাল টাইমার সিস্টেম লাগানো রয়েছে, ঝড় বৃষ্টি হলে পাওয়ার সাপ্লাই বন্ধ হয়ে গেলে ঘড়ি অনেক সময় থেমে যায়, আবার পাওয়ার পেলে ঘড়িটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে স্যাটেলাইটের সাথে সংযুক্ত হয়ে সঠিক সময় নিয়ে নেয়। বালুরঘাট পৌরসভার চেয়ারম্যান অশোক মিত্র বলেন ঘড়ি বিকল হয়নি, নির্দিষ্ট সময় অন্তর ঘড়ির ভিতরের একটি পার্টস পরিবর্তন করতে হয়, আমাদের নজরে এলে সেই পার্টস পরিবর্তন করে দিলেই ঘড়ি সচল হয়ে যায়। তিনিও জানান ঘড়িটিতে জিপিএস ডিজিটাল টাইমার সিস্টেম লাগানো রয়েছে।
Total Post View : 42102