বর্ণালী রায়; দক্ষিণ দিনজপুর: আর্থিক প্রতারণা চক্রের ফর্দাফাঁস, রাতভর দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার ৩ জায়গায় পুলিশি অভিযান, গ্রেপ্তার ৩। উদ্ধার বিপুল সংখ্যক মোবাইল, সিম কার্ড, এটিএম কার্ড, ল্যাপটপ। মঙ্গলবার গভীর রাত্রে ডিএসপি বিক্রম প্রসাদের নেতৃত্বে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার ৩টি জায়গায় অভিযান চালায় পুলিশ। পুলিশি অভিযানে গঙ্গারামপুর থানা এলাকা থেকে রাকিবুল ইসলাম এবং কুমারগঞ্জ থানা এলাকার চকবড়ম এলাকা থেকে মোক্তার ইসলাম নামের দুই ভাইকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। জানা গেছে ধৃত রাকিবুল ইসলাম এবং মোক্তার ইসলাম দুই ভাই। অভিযোগ রাকিবুল এবং মোক্তার দুই জন আর্থিক প্রতারণা চক্রের সঙ্গে যুক্ত। পুলিশের দাবী ধৃত রাকিবুল এবং মোক্তার সাধারণ মানুষদের কাছ থেকে নথি নিয়ে ব্যাঙ্ক একাউন্ট তৈরী করে ব্যাঙ্ক একাউন্টগুলিকে কলকাতা এবং ঝাড়খন্ডে চড়া দামে বিক্রি করত। যে ব্যাঙ্ক একাউন্টগুলি ব্যবহার করা হত আর্থিক প্রতারণার কাজে। জানা গেছে ধৃত দুই জনেরই বাড়ি দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার পতিরাম থানা এলাকার ইন্দিরা গ্রামে। অভিযোগ রাকিবুল এবং মোক্তার-এর বাবা গোলাপ ইসলাম-ও এই প্রতারণা চক্রের সঙ্গে যুক্ত। বর্তমানে গোলাপ ইসলাম পলাতক। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে ভোর রাত্রেই পুলিশ গঙ্গারামপুর থানা এলাকার শিববাড়ি থেকে একজন লিঙ্গ পরিবর্তনকারীকেও গ্রেপ্তার করে। ধৃতদের কাছ থেকে ১টি ল্যাপটপ, ২২টি মোবাইল ফোন, একটি পাসপোর্ট, ৯০টি সিম কার্ড, ১৯টি ডেভিট কার্ড, ৮টি প্যান কার্ড, ৪টি ব্যাঙ্ক চেক বুক উদ্ধার করেছে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে ধৃত ঐ লিঙ্গ পরিবর্তনকারী প্রতারণা চক্রীদের সিম কার্ড সরবরাহ করত। বুধবার দুপুরে সাংবাদিক বৈঠক করে গোটা বিষয়টি সংবাদমাধ্যমকে জানান দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা পুলিশের ডিএসপি বিক্রম প্রসাদ। ধৃতদের ৫ দিনের পুলিশি হেপাজতে চেয়ে বালুরঘাট আদালতে পেশ করে পুলিশ। ডিএসপি বিক্রম প্রসাদ বলেন সমগ্র দেশ জুড়ে আর্থিক প্রতারণা বেড়ে চলেছে, এরকম একটা র্যাকেট দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় বেশ কিছুদিন ধরে চলছিল, আমাদের কাছে খবর এসেছিল। তিনি বলেন কোথায় কোথায় এই ধরনের চক্র কাজ করছে তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। পাশাপাশি এহেন আর্থিক প্রতারণা চক্রের সঙ্গে আরও কারা কারা যুক্ত তাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ বলে তিনি জানিয়েছেন।
Total Post View : 26934