দক্ষিণ দিনাজপুরঃ উন্নয়নের নিরিখে গঙ্গারামপুর শহরবাসীদের আস্থার পরীক্ষায় উত্তীর্ণ গঙ্গারামপুর পৌরসভা, কেউ বলছেন "লেটার মার্ক্স নিয়ে পাশ" তো কেউ আবার বলছেন "একশোয় একশো"। গঙ্গারামপুর পৌর এলাকার উন্নয়নে পরিকল্পনা করে একগুচ্ছ কাজ হাতে নিয়েছিল গঙ্গারামপুর পৌরসভা। যার মধ্যে বেশ কিছু কাজ ইতিমধ্যেই সম্পন্ন হয়েছে এবং বাকি থাকা কাজগুলির মধ্যে অন্যতম ছিল গঙ্গারামপুর শহরের ১৫নং ওয়ার্ডের পৌর সু-স্বাস্থ্য কেন্দ্রের নির্মাণ, বড়দিনের উপহার স্বরুপ গঙ্গারামপুর শহরের ১৫নং ১৬নং ওয়ার্ড এলাকার চার্চ-এ মেরি-র মূর্তি সংস্কার এবং চার্চ-এর আবাসিক হোস্টেলে পানীয় জলের ব্যবস্থা। বাকি থাকা ঐ ৩টি কাজের-ই মঙ্গলবার শুভ উদ্বোধন হয় গঙ্গারামপুর পৌরসভার তত্ত্বাবধানে। উদ্বোধন করেন রাজ্যের মন্ত্রী বিপ্লব মিত্র। উপস্থিত ছিলেন দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডা: সুদীপ দাস, গঙ্গারামপুর পৌরসভার চেয়ারম্যান প্রশান্ত মিত্র, ভাইস চেয়ারম্যান জয়ন্ত দাস, সমাজসেবী শার্দূল মিত্র। গঙ্গারামপুর পৌরসভা সূত্রে জানা গেছে এদিন উদ্বোধিত হওয়া পৌর সুস্বাস্থ্য কেন্দ্রটি নির্মাণ করতে খরচ হয়েছে ৩৫ লক্ষ টাকা। এদিনের এই পৌর সুস্বাস্থ্য কেন্দ্রের উদ্বোধনের ফলে গঙ্গারামপুর শহরে পৌর সুস্বাস্থ্য কেন্দ্রের সংখ্যা বেড়ে হলো ৬। গঙ্গারামপুর পৌরসভার চেয়ারম্যান প্রশান্ত মিত্র জানিয়েছেন এই পৌর সুস্বাস্থ্য কেন্দ্র চালু হওয়ায় আদিবাসী পাড়া, শিববাড়ি এলাকার প্রচুর মানুষ উপকৃত হবে। অপরদিকে এদিন উদ্বোধিত হওয়া চার্চ-এ মেরি মূর্ত্তি এবং আবাসিক হোস্টেল পানীয় জল ব্যবস্থার জন্য যথাক্রমে ১০ লক্ষ ও ১৫ লক্ষ টাকা খরচ হয়েছে বলে জানা গেছে। প্রশান্ত মিত্র বলেন আসন্ন বড়দিনের পূর্বে গঙ্গারামপুর পৌরসভার উপহার। গঙ্গারামপুর পৌরসভার উন্নয়নমূলক কাজের এই গতিতে খুশি গঙ্গারামপুর শহরের বাসিন্দারা। গঙ্গারামপুর পৌরসভার কাজ প্রসঙ্গে শহরবাসীদের একাংশের বক্তব্য "উন্নয়নের পরীক্ষায় গঙ্গারামপুর পৌরসভা লেটার মার্ক্স নিয়ে পাশ" তো আবার কেউ বলছেন " এখনকারকাজের গতির নিরিখে গঙ্গারামপুর পৌরসভা একশোয় একশো"। মন্ত্রী বিপ্লব মিত্র বলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়-এর নেতৃত্বে গোটা বাংলা জুড়ে উন্নয়ন যজ্ঞ চলছে, গঙ্গারামপুর পৌরসভাও সেই উন্নয়নের কর্মকান্ডে সামিল।