সূর্যশিখা নিউজ ডেস্ক: রাম মন্দিরের উদ্বোধনে নজর গোটা বিশ্বের। আর সেই উদ্বোধন অনুষ্ঠানকে নির্বিঘ্নে সারতেই গোটা অযোধ্যাকেই কড়া নিরাপত্তার ঘেরাটোপে মুড়ে ফেলল উত্তরপ্রদেশ সরকার। কোনওরকমের অপ্রীতিকর ঘটনা আটকাতে নিরাপত্তার একাধিক স্তর তৈরি করা হয়েছে। অযোধ্যা শহরকে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই) দ্বারা নিয়ন্ত্রিত দশ হাজার সিসিটিভি ক্যামেরায় মুড়ে ফেলা হয়েছে। ভিড়ের মধ্যে মিশে থাকবে প্রচুর সংখ্যক সাদাক পোশাকের পুলিশকর্মীরা। এ ছাড়াও আকাশপথে ড্রোন দিয়েও চলছে নজরদারি। রাম মন্দিরে রাম লালার প্রাণ প্রতিষ্ঠার অনুষ্ঠানে সরকারি ভাবে আমন্ত্রিতের সংখ্যা ৭ হাজার। কিন্তু এই অনুষ্ঠানের সাক্ষী থাকতে ইতিমধ্যেই গোটা দেশ থেকে অযোধ্যায় পৌঁছে গিয়েছেন হাজার হাজার ভক্ত। ধর্মপথ, রামপথ থেকে শুরু করে হনুমানগড়ি অথবা আশরফি ভবন রোড- অযোধ্যার ছোট বড় রাস্তা, গলিতে এখন থিক থিক করছে মানুষের ভিড়। সেই ভিড়ের মধ্যেই কেউ অসাধু উদ্দেশ্য নিয়ে অযোধ্যায় হাজির হয়েছে কি না, তার উপর প্রতি মুহূর্তে কড়া নজর রাখছে সাদা পোশাকের পুলিশ এবং এই দশ হাজার সিসিটিভি ক্যামেরা। এক সিনিয়র কর্তার কথায়, অযোধ্যা এখন এআই চালিত ড্রোনের নজরদারিতে রয়েছে। এ ছাড়াও অ্যান্টি মাইন ড্রোনও ব্যবহার করা হচ্ছে। আকাশ পথে যেমন এআই নিয়ন্ত্রিত ড্রোন দিয়ে অযোধ্যার অলি গলির। অযোধ্যার প্রায় প্রতিটি মোড়়েই যান নিয়ন্ত্রণ করছে পুলিশ। কারণ আজ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ছাড়াও বেশ কয়েকটি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রের বহু বিখ্যাত ব্যক্তিত্বের অযোধ্যায় আসার কথা। উত্তর প্রদেশ পুলিশের ডিজি (আইনশৃঙ্খলা) প্রশান্ত কুমার জানিয়েছেন, অযোধ্যায় রাম মন্দির সংলগ্ন এলাকাগুলিকে রেড জোন, ইয়েলো জোনে ভাগ করে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে।নিরাপত্তায় কোনও ফাঁক না রাখতেই বিভিন্ন ভাষা বুঝতে সক্ষম পুলিশকর্মীরা ভিড়ের মধ্যে মিশে থাকবেন। যাতে হিন্দি বাদে অন্য কোনও ভাষাতেও কেউ কোনও ভাষাতেও কোনও নাশকতার পরিকল্পনা কানে এলেই ধরতে পারেন তাঁরা। সরযূ নদীর পাড় সংলগ্ন এলাকাগুলিতেও নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে।
Total Post View : 64000