15th June 2025, 11:56 AM
সূর্যশিখা নিউজ ডেস্ক : আমরা সবাই জানি চন্দ্রযান-৩ নিরাপদে গন্তব্যে পৌঁছেছে। চন্দ্রযান-৩ তার কাজও শুরু করেছে। ISRO তাকে ১৪ দিনের টাস্ক দিয়ে পাঠিয়েছে। এখন সাধারণ মানুষের মনে প্রশ্ন জাগছে যে ১৪ দিন পর এই মিশন কাজ বন্ধ করবে? এর পর বিক্রম ল্যান্ডার ও প্রজ্ঞান রোভারের ভূমিকা কী হবে? মিশন কীভাবে এগোবে?চাঁদের কক্ষপথে উপস্থিত অরবিটার কী করবে?এই সব প্রশ্নের উত্তর লুকিয়ে আছে চন্দ্রযান-২-এ। যা ব্যর্থ বলে বিবেচিত হয়েছিল। সে সময় ল্যান্ডার ও রোভার পাঠানো হলেও সফল হতে পারেনি। ভূপৃষ্ঠে অবতরণের আগেই গাড়িটি বিধ্বস্ত হয়। তবে, অরবিটার এখনও নিরাপদে তার কাজ করছে। অরবিটার কেবল সময়ে সময়ে তার উপস্থিতির প্রমাণই দিচ্ছে না, চন্দ্রযান-৩ কক্ষপথে পৌঁছানোর সাথে সাথে তাকে স্বাগতও জানিয়েছে।কবে নাগাদ এটি কার্যকর হবে তাও বলতে পারছেন না বিজ্ঞানীরা। হ্যাঁ, সবাই নিশ্চিত যে এটি দীর্ঘ সময়ের জন্য কাজ করতে যাচ্ছে। তাই চন্দ্রযান-৩ কে চন্দ্রযান-২-এর ফলো-আপ মিশনও বলা হচ্ছে। এবারও পাঠানো হয়েছে ল্যান্ডার, রোভার ও অরবিটার। এই অরবিটারটিও চন্দ্রযান-২ এর মতো চাঁদের কক্ষপথে ঘুরবে এবং তথ্য পাঠাতে থাকবে।সেন্টার ফর অ্যাডভান্সড স্টাডিজের সহযোগী অধ্যাপক ডঃ অনুজ শর্মা বলেছেন যে চন্দ্রযান-৩ এর অরবিটার চন্দ্রযান-২ যেভাবে কাজ করে চলেছে সেভাবেই কাজ করতে থাকবে। ডঃ শর্মা বলেছেন যে চন্দ্রযান-২ ২০১৯ সালে চালু হয়েছিল। এর সাথে পাঠানো ল্যান্ডার-রোভারটি বিধ্বস্ত হয়েছিল, তবুও এর অরবিটারটি গত চার বছর ধরে কাজ করছে। সংকেত পাঠানোর কাজও করছে।ল্যান্ডার-রোভার, যা শুধুমাত্র ১৪ দিন কাজ করবে বলে বিশ্বাস করা হচ্ছে, কিন্তু সত্য এর থেকে ভিন্ন হতে পারে। ভবিষ্যতে তাকে কাজ করতে দেখলে কেউ অবাক হবেন না। কারণ যতক্ষণ পর্যন্ত তাদের মধ্যে পাওয়া ব্যাটারিতে শক্তি থাকবে ততক্ষণ সেন্সরগুলি কাজ করবে। সেন্সরগুলো কাজ করলে চাঁদ থেকেও তথ্য আসতে থাকবে। তবে ব্যাটারিগুলো কতক্ষণ কাজ করবে তা জানা খুবই কঠিন। তবে যতক্ষণ তথ্য পাওয়া যাবে ততক্ষণ ধরে নেওয়া হবে যে ল্যান্ডার-রোভারটি কার্যকরী।
Total Post View : 106