সূর্যশিখা নিউজ ডেস্ক : চিন ও রাশিয়ার মধ্য 'সীমাহীন বন্ধুত্ব' এবং তা মস্কোর সঙ্গে নয়াদিল্লির সম্পর্কে কী প্রভাব পড়বে- এই প্রশ্ন করা হয়েছিল জয়শঙ্করকে। সেই প্রশ্নের জবাবেই জয়শঙ্কর বলেছেন, "ইউরোপ এবং এশিয়ার মধ্যে বিস্তৃত হলেও রাশিয়া ঐতিহাসিক ভাবে নিজেকে ইউরোপের অংশ বলে দেখে আসছে। বিশ্বের বিভিন্ন শক্তিধর দেশগুলির মধ্যে ভারত ও রাশিয়ার সম্পর্ক সবথেকে স্থিতিশীল। বিশ্বের দুই শক্তিধর দেশে নিজেদের মধ্যে সাত দশক ধরে সম্পর্ক বজায় রেখেছে। শুধু তাই নয়, ভবিষ্যতে রাশিয়া আরও বেশি করে এশিয়ার কাছাকাছি আসবে। সম্প্রতি এই কথা বলেছেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর।নিউ ইয়র্কে কাউন্সিল ফর ফরেন রিলেশনের বৈঠকে এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেছেন জয়শঙ্কর। কিন্তু ২০২২ থেকে এর পরিবর্তন হচ্ছে। ইউরোপের সঙ্গে রাশিয়ার সম্পর্ক 'ভয়ঙ্কর খারাপ' হতেই রাশিয়া এশিয়ার উপর বেশি নির্ভর করছে। এর কারণ এশিয়ার বিভিন্ন দেশের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড।" রাশিয়ার সম্পর্কে তিনি আরও বলেছেন, "এশিয়ার শক্তি হওয়া সত্ত্বেও রাশিয়া নিজেকে এশিয়ার শক্তি হিসাবে ভাবে না। আমার মনে হয় রাশিয়া আগামী দিনে বিভিন্ন দেশের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ার চেষ্টা চালাবে। যার মধ্যে অধিকাংশই হবে এশিয়ার দেশ।"রাশিয়ার সঙ্গে ভারতের সম্পর্কের বিষয়ে জয়শঙ্কর বলেছেন, "আমাদের স্থির সম্পর্ক ১৯৫০ সালের মাঝামাঝি সময় থেকে। এটা খুব আগ্রহের, গত ৭০ বছর বিশ্ব রাজনীতি আমেরিকা-রাশিয়া, রাশিয়া-চিন, ইউরোপ-রাশিয়ার মতো অনেক সম্পর্কের উত্থানপতনের সাক্ষী রয়েছে। এই সব সম্পর্কের ভাল এবং খারাপ সময়কাল রয়েছে। কিন্তু সোভিয়েত এবং সোভিয়েত পরবর্তী সময়ে ভারত ও রাশিয়ার স্থির সম্পর্ক রয়েছে।"
Total Post View : 143