দক্ষিণ দিনাজপুরঃ মুমুর্ষ রুগীর প্রাণ বাচাতে ছুটন্ত "বিপদের বন্ধু" মহেশ। রাজ্যের শাসক দলের নেতাদের বিরুদ্ধে যখন ভুড়ি ভুড়ি অভিযোগ বিরোধীদের সেখানে উল্টো চিত্র বালুরঘাটে। বালুরঘাট শহর তৃণমূল যুব কংগ্রেস নেতা মহেশ পারেখ-এর কাজের প্রশংসায় পঞ্চমুখ সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে বিরোধী। রাজনৈতিক রঙ না দেখে সাধারণ মানুষদের কাছে পৌর নাগরিক পরিষেবা পৌছে দেওয়ার জন্য একদা বালুরঘাট পৌরসভার পৌরাধ্যক্ষ পরিষদের সদস্য তথা বালুরঘাট শহর তৃণমূল যুব কংগ্রেস নেতা মহেশ পারেখ-এর প্রশংসায় পঞ্চমুখ হতে দেখা গিয়েছিল বালুরঘাটের বাম কাউন্সিলারকে। রাজনীতি হোক বা সামাজিক কাজকর্ম মহেশ পারেখ-এর কাজের প্রশংসা করে ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করতে দেখা গিয়েছে বালুরঘাটের যুব সমাজের একটা বড় অংশকে। এবার বালুরঘাটের ছেলে মহেশ পারেখ-কে "বিপদের বন্ধু" আখ্যা বালুরঘাটের যুবকের। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার মালঞ্চা শতখন্ড গ্রামের বাসিন্দা লক্ষ্ণী বর্মন শনিবার শারীরিক অসুস্থতা নিয়ে বালুরঘাট হাসপাতালে ভর্ত্তি হন। রক্তক্ষরণ হওয়ার কারনে চিকিৎসকরা দ্রুত লক্ষ্ণী বর্মন-কে রক্ত দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেও হাসপাতালের ব্লাড ব্যাঙ্কে এবি পজেটিভ রক্ত না থাকায় বুধবার হন্যে রক্তের খোঁজ করছিল রুগীর পরিবার। খবরটি মহেশ পারেখ-এর কাছে পৌছাতেই তড়িঘড়ি বালুরঘাট পৌরসভার গাড়ি নিয়ে হাসপাতালের ব্লাড ব্যাঙ্কে পৌছান মহেশ পারেখ। লক্ষ্ণী বর্মন-এর জন্য নিজে নিজের এবি পজেটিভ রক্তদান করেন। রক্তের জোগাড় হওয়াতে চিন্তা মুক্ত হন রুগীর পরিবারের সদস্যরা। বিপদের দিনে পাশে পেয়ে রক্তদাতা মহেশ পারেখ-কে "বিপদের বন্ধু" আখ্যা দেন লক্ষ্ণী বর্মন-এর ছেলে বালুরঘাটের যুবক বিক্রম বর্মন। অপরদিকে মহেশ পারেখ-এর বক্তব্য মানুষের বিপদে পাশে থাকা তাদের কর্তব্য, তিনি শুধু সেই কর্তব্যটুকু পালন করেছেন। বিষয়টি চাউড় হতেই মহেশ পারেখ-এর প্রশংসায় পঞ্চমুখ সকলেই।
Total Post View : 21086